র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ বিএনপির

র্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এরই মধ্যে সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে এই সুপারিশ করেছে দলটি।পুলিশ কমিশন গঠন ও দেশ-বিদেশের মহলে র্যাবের কর্মকাণ্ডে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে বিলুপ্তের সুপারিশ করেছে বিএনপি গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিটি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটি বিএনপির কাছে সুপারিশ না চাইলেও আমরা সুপারিশমালা দিয়েছি। রাষ্ট্রের এই অত্যাবশ্যকীয় সেবার (পুলিশ) সংস্কার এখন সময়ের দাবি। সুপারিশমালায় বিএনপি পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে বলে জানান হাফিজ।
তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তকাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। জনগণের সঙ্গে পুলিশের দুরত্ব কমানোর সুপারিশ করেছি আমরা।
তিনি বলেন, র্যাব অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাই আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাছে র্যাব বিলুপ্তির করার সুপারিশ করেছি।
তিনি বলেন, পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে থাকা র্যাব ইতোমধ্যে দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং সুধীজন র্যাবকে দেশে সংঘটিত অধিকাংশ গুম, খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের জন্য দায়ী করেছে। বাহিনীটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে। এই প্রেক্ষাপটে র্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। র্যাবের দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং থানা পুলিশ যেন পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী গড়তে এবং মানবাধিকারের প্রতি আরও সচেতন করতে মোট ১৭ দফা সুপারিশ করেছে বিএনপি। এতে পুলিশের অযৌক্তিক বলপ্রয়োগ এবং নিষ্ঠুর আচরণের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।