রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

সুন্দরবনে যুক্ত হচ্ছে আরো চারটি পর্যটন কেন্দ্র

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সুন্দরবনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। প্রতি বছরই বনের সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবন সবসময়ই পর্যটক আকর্ষণ করে। বছরে প্রায় দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে শীত মৌসুমে বেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে যায়। বনের একই স্থানে পর্যটকের চাপ কমাতে এবার বাড়ানো হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র।

করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট (নীল কমল), কলাগাছী, কাগা দোবেকীতে আটটি পর্যটন কেন্দ্রর পাশাপাশি সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী; পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা এবং চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে এ বছর থেকে চালু হচ্ছে আরো নতুন চারটি পর্যটন কেন্দ্র। বন বিভাগ বলছে, ২০২১ সালে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নতুন চারটি পর্যটন কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এ বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে কালাবগী ও আন্ধারমানিক কেন্দ্র দুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। অন্য দুটির কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। খুলনা অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পর্যটক বাড়ায় এবং বনের জীববৈচিত্র্য ও সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী, শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে নতুন চারটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্রের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদিও কাজ শেষ হওয়ার আগেই দুটি কেন্দ্রে পর্যটক যাওয়া শুরু করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়তো শেখেরটেক ও আলীবান্ধা কেন্দ্র দুটি উন্মুক্ত করে দেয়া যাবে। নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় হবে। এতে পর্যটকরা এক জায়গায় ভিড় না করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সুন্দরবন দেখার সুযোগ পাবে।’বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন ধরনের কাঠ, মাছ, কাঁকড়া, গোলপাতা, মধুসহ ১২ ধরনের খাত থেকে রাজস্ব আহরণ করা হতো। ১৯৮৯ সালে আইন করে গেওয়া, গরান ছাড়া সব ধরনের গাছ কাটা বন্ধ করা হয়। ২০০৭ সালে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালে আইলার পর গেওয়া ও গরান আহরণও বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। বর্তমানে শুধু মাছ, কাঁকড়া, গোলপাতা, মধু ও পর্যটন থেকে রাজস্ব আহরণ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর