হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক হুইপ গিনি ও ৫ এমপি সহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় মামলা

ঘটনার ১০ মাস পর গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোঃ বায়োজিদ বোস্তামি জীম (২৪) এর ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক হুইপ ও ৫ এমপিসহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা শাখার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাইবান্ধা সদর থানায় দায়েরকৃত এজাহারে ৮৫ জন নামীয় এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
ভুক্তভোগী বায়োজিদ অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে তাকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আসিফ সরকারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ৪ আগস্ট বেলা ২টার দিকে বায়োজিদকে গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে থেকে পুনরায় ধৃত করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে মারধর করা হয়। এসময় ৭০-৭৫টি রাবার বুলেট দিয়ে তার শরীরে গুলি ছোড়া হয় বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে। হামলার পর হামলাকারীরা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এজাহারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সুন্দরগঞ্জ আসনের সাবেক নাহিদ নিগার সাগর, গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সরোয়ার কবির,পলাশবাড়ী সাদুল্লাপুর আসনের সাবেক এমপি এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাঘাটা ফুলছড়ি আসনের সাবেক এমপি মাহমুদ হাসান রিপন।সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী হিসেবে মোঃ মাসুদ মিয়া ও মোঃ জাহিদ হাসান জীবনের নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই বিষয় নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি’ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামিদের ধরতে কাজ করছে সদর থানা পুলিশ।