শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

বিলকিস বানুর ১১ ধর্ষককে নিয়ে যা বললেন বিজেপি বিধায়ক

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে গণধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনের সাজা মওকুফ এবং মুক্তির বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিজেপির এক বিধায়ক। বৃহস্পতিবার তিনি ওই বিষয়ে কথা বলেন।

নিউজ পোর্টাল মোজো স্টোরির সঙ্গে কথা বলার সময় গুজরাটের গোধরার বিজেপি বিধায়ক সিকে রাউলজি বলেন, ‘ওই সকল দোষীরা অপরাধ করেছে কিনা তা তিনি জানেন না। তবে ওই সকল দোষীরা ব্রাহ্মণ এবং তাদের আচরণ ভালো। তাদের শাস্তি দেওয়ার এবং কারাগারে রাখার পিছনে মানুষের বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’

রাউলজির মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ তিনি গোধরা কালেক্টর এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন। তাদের সর্বসম্মতিক্রমে ওই ১১ জন দোষীকে ক্ষমা করার সুপারিশ করা হয়েছিল। গুজরাটের কালোলের বিজেপি বিধায়ক সুমনবেন চৌহানও একই কমিটির অংশ ছিলেন যারা দোষীদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল।

এ সময় গুজরাট সরকার উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে এবং দোষীদের ক্ষমা করে (শাস্তি শেষ হওয়ার আগে) অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দেয়।

বিলকিস বানুকে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত এ সকল অভিযুক্তকে মুক্তির পর মিষ্টি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) কর্তৃক তাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) একটি বিশেষ আদালত ২০০২ সালে দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টে এ রায় বহাল থাকে। দণ্ডিত ব্যক্তিরা ১৫ বছরের বেশি কারাভোগ করেন। এরপর তাদের একজন সাজা শেষ হওয়ার আগেই কারামুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সম্প্রতি তাদের এক জন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেয়েই একটি কমিটি গঠন করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। সোমবার সুজল বলেন বলেন, ‘ওই কমিটি ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করেছিল। তারই ভিত্তিতে গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে তাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।’

কয়েক মাস আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দোষী সাব্যস্ত বন্দীদের সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য একটি বিশেষ ‘মুক্তি নীতি’ কার্যকর করা হবে। কিন্তু ওই নীতিতে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া যাবে না বলেও তারা জানিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।

সূত্র : দ্যা কুইন্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর