রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি উপজেলাসহ কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ ধরা ও শিকার করা নিষিদ্ধ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক নেপালে স্বর্ণের খোঁজে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল গাজার উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ই স রা ইলি বিমান হাম লা য় ২৫ জন নি হ ত হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠ নামছে ভোক্তা অধিদপ্তর

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত দামের বাইরে এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাকা রসিদ ছাড়া ডিম বেচাকেনা করা যাবে না। খামারি থেকে খুচরা পর্যন্ত সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে এ নির্দেশনা মানতে হবে। নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেউ ডিম বিক্রি করলে শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। বুধবার থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোরভাবে মাঠে নামবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান সংস্থার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, এফবিসিসিআইর প্রতিনিধি, ডিম উৎপাদনকারী করপোরেট প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র খামারি, পাইকারি ও খুচরা ডিম বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিটি খাতের প্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব ক্রয়-বিক্রয়ের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

সভায় প্রতিটি ডিম নির্ধারিত ১২ টাকার বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা যাবে না এমন কঠোর অবস্থান ও ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে উৎপাদন ব্যয় সাড়ে ১০ টাকা হওয়ার পর উৎপাদক, ডিলার, পাইকারের হাত ঘুরে খুচরা পর্যায়ে কীভাবে ১২ টাকা দর বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো কোনো কিছু বলা হয়নি। ফলে ব্যবসায় কে কত মুনাফা করবে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থেকে গেছে।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে ডিম কেনার রসিদ সংগ্রহ করে দোকানে রাখতে হবে। একইভাবে পাইকারদের রাখতে হবে উৎপাদক থেকে ডিম কেনার রসিদ। এর বাইরে কোনোভাবেই ডিম বিক্রি করা যাবে না। একই সঙ্গে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কত টাকা দরে পাইকারদের কাছে ডিম বিক্রি করছে, প্রতিদিন সে তথ্য পাঠাতে হবে ভোক্তা অধিদপ্তরে। খুচরা থেকে উৎপাদনকারী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এই ব্লেম গেম চলবে না।’ প্রতি ডিমে তিন থেকে চার টাকা বাড়িয়ে দুষ্টচক্র মাত্র ১০ দিনে ১২০ থেকে ১৬০ কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। কারা এ অর্থ তুলে নিলু এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

মহাপরিচালক আরও বলেন, খামারিদের সুরক্ষা দিতে সরকার ডিম আমদানি করছে না। কিন্তু এই সুবিধার বিনিময়ে বাজারে কারসাজি করলে ভোক্তার স্বার্থে আমদানির অবস্থানে যাবে সরকার।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. শাহিনুর আলম হিসাব কষে জানান, ভোক্তা পর্যায়ে একটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে খামারিদের সুরক্ষা দরকার। গুটিকয়েক গোষ্ঠীর কারণে বাজার অস্থিতিশীল। ডিম-মুরগির বাজারে শৃঙ্খলা আনতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্ধারিত দামকে সমর্থন জানিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, বাজার অস্থির করলে কেউ পার পাবে না। বেশ কয়েকটি মামলা আগে হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নতুন করে আরও মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে অস্থিতিশীল বাজারের দায় কোনোভাবেই নিতে রাজি নন উৎপাদকরা। তারা বলছেন, বড় খামারিদের একটি ডিম উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে ১০ দশমিক ৩১ টাকা এবং ছোটদের খরচ হচ্ছে ১০ দশমিক ৮৫ টাকা। সাড়ে ১০ টাকায় উৎপাদিত ডিম তারা বিক্রি করছেন মাত্র ১ টাকা লাভে সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ টাকায়। পোলট্র্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, খামারিরা এত কষ্ট করে ডিমপ্রতি মাত্র ৫০ পয়সা লাভ করবে, আর ব্যবসায়ীরা কোনো পরিশ্রম না করেই শুধু বিনিয়োগ করে দেড় থেকে ২ টাকা মুনাফা করবে; এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর