বৈধ বাণিজ্য ছাড়াই টেকনাফ স্থলবন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আয়
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ৯ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় আদায় হলো।
স্থলবন্দরের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গত ৯ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা স্থলবন্দরে শুল্কস্টেশন চালুর পর যেকোনো অর্থবছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে আমদানিতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা বিগত অর্থবছরের আদায় করা রাজস্ব থেকে ৩৩৪ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার টাকা বেশি। এক্ষেত্রে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে টেকনাফ স্থলবন্দরে শুল্কস্টেশনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৯৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় করা রাজস্বে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তবে আমদানিতে রাজস্বের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হলেও রফতানিতে তার বিপরীত চিত্র। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে রফতানি হয়েছে ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলারের। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলারের। যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬২ দশমিক ১৬ মার্কিন ডলার কম।
স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, ডলার-সংকটের কারণে কয়েক মাস ধরে পণ্য আমদানিতে ছন্দপতন ঘটেছে। রফতানি অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। চাহিদা মতো ব্যাংক ড্রাফট পাওয়া গেলে আরো কয়েকশত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব হতো। এরকম রাজস্ব আদায় এ স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম সর্বোচ্চ আয় হয়েছে।
স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এএসএম মোশারফ হোসেন বলেন, প্রতিকুলতার মধেও রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। এটিই স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠাতার পর সবোর্চ্চ রাজস্ব আয়। এটি অবশ্যই একটি রেকর্ড।