আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যান্ট সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ১১তম বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যিক ঘাটতি নিরসনে ট্রান্সশিপমেন্ট ও ট্রানজিট ভূমিকা রাখবে
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই দেশের সংসদের আরো সম্পৃক্ততা, নারী আইন প্রণেতাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা এবং আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্যিক ঘাটতি নিরসনে ট্রান্সশিপমেন্ট ও ট্রানজিট ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যের পাশাপাশি পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, দুই দেশের কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা স্টেটমেন্টে বিশ্বাস করি না। আমরা ফোনকলে বেশি বিশ্বাস করি। কাজগুলা আমরা ফোন কল করে শেষ করতে চাই।’
সম্প্রতি ভারতীয় ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) প্রতিদিন পাঁচ থেকে নয় হাজার ভিসা ইস্যু করে। আমাদের হাজার হাজার লোক আবেদন করেন। তাদের এত জনবল নাই। তারা চিন্তা করছে এই সক্ষমতা বাড়ানোর। আর আমি বলেছি অদূর ভবিষ্যতে আমি চাই, ভিসা মুক্ত ভারত-বাংলাদেশ।’
ভারতের সাবেক মন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর বলেন, ‘কিভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়া যায়, সম্পর্কন্নোয়ন করা যায় এগুলোই এই আয়োজনে আমাদের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি দুই দেশ নানা ইস্যুতে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকতে পারে এগুলো কিভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখতে হবে। সমস্যা থাকলে এর উত্তরণ ঘটাতে হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আশা করি, তিন দিনব্যাপী এই সংলাপের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারব। যা দু’দেশের আগামী দিনের পথচলা আরো মসৃণ করবে।’