আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ, মত দিল ইউজিসি
চলছে আশ্বিন মাস। হচ্ছে টানা বৃষ্টি। কখনও ভারী বর্ষণ, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। ফলে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কিভাবে জোগাড় হবে প্রতিদিনের ডাল-চালের খরচ, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার টাকা কিংবা এনজিওর কিস্তির টাকা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে মাথায় ভারী হচ্ছে চিন্তার বোঝা।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাঘমারা, চর বন্দবের, কুটিরচর, ফলুয়ারচর, বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, খঞ্জনমারাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এক শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ বৃষ্টির মধ্যেই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের কর্ম। অপরদিকে কৃষকের কাজ থেমে থাকলেও থেমে নেই ভ্যানচালকের ভ্যান চালানো। ভ্যানের ওপরে পলিথিন টাঙিয়ে ছুটে চলছেন বিভিন্ন এলাকায়।
কথা হয় ভ্যান চালক আজাহার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, তার মাথায় কিস্তির চাপ। তাই ঘরে বসে না থেকে টাকা আয় করতে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এভাবে বৃষ্টি হলে কিস্তির টাকা জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়বে।
চায়ের দোকানে গল্পে মজে থাকা কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ি থেকে আর কি করবো। তাই চলে আসলাম হাফিজুরের চায়ের দোকানে। আর তা না হলে বৃষ্টিতে বাড়িতে বন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। তাই দোকানে এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বললে সময় কেটে যায়।
কলা ব্যবসায়ী আমিনুলের ভাষ্য, বৃষ্টির দিনে বেচা-কেনা খুবই কম। ছেলের প্রাইভেটের খরচের টাকা জোগাড় করতেই বৃষ্টির মধ্যে কলা বিক্রি করতে এসেছেন। তবে বৃষ্টির কারণে সব কলা বিক্রি হবে না।
এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে অনেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে ছুটে চলছেন তাদের গন্তব্যের দিকে। বৃষ্টির কারণে দিনভর চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। আসন্ন রাজনীতি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে কথার ফুলঝুড়ি।
এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে বেঁধে গেছে পানি। পানি উপেক্ষা করেই কেনাবেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। একদিকে বৃষ্টি। অপরদিকে সবজির উচ্চ মূল্য এই দুইয়ের আঘাতে হতদরিদ্র মানুষের দিন কাটছে সংকটে। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।