শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিবগঞ্জে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের পর বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ চুনারুঘাট উপজেলায় দিনেদুপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা কোটি টাকার ইয়াবা লুট করেছে কক্সবাজারে,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল! আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা শহীদ মুজাহিদের মা-বাবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে : প্রধান উপদেষ্টা বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা ও ড্রেনের কাজ চলমান মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেছে ৬ মাসের শিশু বাচ্চা স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর

শাহজাদপুরে সাদা ঝুরি তৈরিতে শতাধিক নারীর ভাগ্য পরিবর্তন

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল গ্রামে তৈরি করা হচ্ছে মুখোরচক সাদা ঝুরি । এ ঝুরি তৈরীর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে অনেক নারী। এতে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে ওই গ্রামের শতাধিক নারীর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর দফায় দফায় ভাঙ্গনে ওই গ্রামের অনেক পরিবারের বাড়িঘর ও জমিজমা বিলিন হয়ে যায়। এতে অনেক পরিবার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ে এবং ওই গ্রামে বালুচর পড়ায় এখানে কোন ফসল চাষাবাদ হয় না। জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজও পায়না ওই গ্রামের মানুষ। এছাড়া অনেক পরিবারের পুরুষ সদস্য স্ত্রী পরিজন ফেলে অন্যত্র চলে গিয়ে আবারো সংসার শুরু করে। এ কারণে তাদের দিন কাটছিল অর্ধাহারে ও অনাহারে। অবশেষে স্বল্প পুঁজিতে অনেক অসহায় নারী বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে এ ঝুরি তৈরির কাজ বেছে নেয় দীর্ঘদিন ধরে। চালের গুড়া ও লবনের পানি দিয়ে এ সাদা ঝুরি তৈরী করা হয়। হাটপাচিল গ্রামের নারীদের তৈরী এ সাদা ঝুরির কদরও বাড়ছে। মুখোরচক এ ঝুরি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অনেক স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। এতে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের পালা শুরু হয়েছে ও হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক নারী ঝুরি তৈরি করে সাংসার চালাচ্ছে এবং তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াও করাচ্ছ। ইতিমধ্যেই এ ঝুরি তৈরী ও বিক্রি করে অনেক নারী এখন স্বাবলম্বী। এ নারীদের সাফল্য দেখে এলাকার অনেক গ্রামের নারীরা এখন এ ঝুরি তৈরির কাজে ঝুঁকছে।

ওই গ্রামের ঝুড়ি তৈরীকারী সকিনা, আঞ্জুমান ও বিলকিসসহ অনেক নারী জানান, একজন নারী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১ মণ ঝুড়ি তৈরি করতে পারেন। যায় বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮’শ টাকা। তারা প্রতি কেজি ঝুড়ি বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। অর্থাৎ কেজি প্রতি তাদের গড়ে লাভ হয় ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকা এবং প্রতি মণে লাভ হয় সাড়ে ৫’শ টাকা থেকে ৬’শ টাকা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মাস্টারসহ অনেকেই বলছেন, এ ঝুরি তৈরী কাজে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হলে এ সাদা ঝুড়ি লাভজনক শিল্পে পরিণত হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর