ফের যমুনায় পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল। এতে নদীতীরবর্তি এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। একই সঙ্গে জেলার অভ্যান্তরীন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি দিনের পানি বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে নদীপাড়ের মানুষা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর ) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, যমুনায় দ্রুত পানি বদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সদরের কিছু অংশে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চৌহালী উপজেলার চর- আঙ্গাড়ু গ্রামের শুক্কুর ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীবর্তী এলাকায় ভাঙতে শুরু করেছে। আবার পানি কমে যাবার সময়ও ভাঙে। এবছর বন্যার পাানি নদীতে আশায় প্রায় ২০/২৫ টা বসতভিটা নদীতে বিলিন হয়েছে। এর সাথে প্রতিদিন তো ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কাসেম আলী জানান, গত দুদিন আগে এই গ্রামের ৯ টি বসত ভিটা ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই নদীর পাড় ভাঙছে। ভাঙন আতংকে অনেকে ঘর বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। পানি বাড়াতে অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, যমুনার পানি আরও ৫-৭ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে না বলে তিনি জানান।