কুমারী না হলে বলিউডে কাজ পাওয়া মুশকিল ছিল

হতাশায় ডুবে থাকার দিন শেষ হয়েছে। ক্যানসার জয় করে কেবল কাজে ফিরেছেন মহিমা চৌধুরী। কঙ্গনা রানাউতের ঐতিহাসিক ছবি ‘ইমার্জেন্সি’তে তিনি এবার লেখক তথা সমাজকর্মীর ভূমিকায়। ব্যক্তিজীবনেও স্বীকার করে নিলেন সমাজবদলের কথা। জানালেন, আগের বলিউড আর এখনকার বলিউডে আকাশ-পাতাল আলাদা।
১৯৯৭ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘পরদেশ’-এ অভিনয় করে বলিউডে পা রেখেছিলেন মহিমা। সে সময় মহিলাদের কোনো স্বর শোনা যেত না। সমাজের ইচ্ছায়, ইন্ডাস্ট্রির মনের মতো হয়ে জীবনযাপন করতে হতো নায়িকাদের, না হলেই কেরিয়ার শেষ। এক সাক্ষাৎকারে অতীতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রোমন্থন করলেন মহিমা। বললেন, ‘আমি মনে করি, এখন ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের একটা জায়গা আছে। অভিনেত্রীরা ভালো পারিশ্রমিক পান, অনুমোদন পান। সম্মান পান। তাদের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক মজবুত। কিন্তু এর আগের গল্পটা এত মসৃণ ছিল না।’
মহিমা বলেন, ‘তখন কেউ কারো সঙ্গে সম্পর্কে আছে শুনলে কাজ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয় ছিল। বলিউড আপাদমস্তক কুমারী মেয়েদের চাইত। যারা কোনো দিন পুরুষের সাহচর্যে আসেনি, কাউকে চুমু খায়নি। আর যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তবে ভুলে যান। কেরিয়ার ওখানেই শেষ হয়ে গিয়েছে।’
মহিমা জানান, বিয়ে হয়ে যাওয়া নারীরা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার কথা ভাবতেই পারতেন না। আর সন্তান থাকলে তো কথাই নেই। এই চরম লিঙ্গবৈষম্যের ছবির মধ্যেই গিয়ে পড়েছিলেন মহিমা। সব কিছু সামলে এখন সুদিন দেখছেন।
গত বছরের শুরুতে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। অভিনেতা অনুপম খের সোশাল মিডিয়ায় সে খবর সবাইকে জানিয়ে দিতেই অনেকে পাশে দাঁড়ান। তবে কারো অনুকম্পায় নয়, মনের জোরে সুস্থ হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ে চিকিৎসা করিয়ে যখন সুস্থ হওয়ার দিকে, তখন তার মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল। বলিউডে আবার কাজ পাবেন ভাবেননি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস