শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

সাকিবের খেলা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেশের মাটিতে খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেননি সাকিব আল হাসানের। ফলে হয়তো কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে রইল সাদা জার্সিতে সাকিবের শেষ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দেশের আর ফেরা হয়নি, আমিরাত থেকে ফেরত গেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাকিবের দেশে আসা নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও বুধবার গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

আজ বোর্ড সভায় ঢোকার আগে গণমাধ্যমকে সাকিব ইস্যুতে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনি… একেবারেই আমরা কোনওভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’

 

ফারুক দাবি করেছেন, সাকিবকে দেশের মাটিতে বিদায় দেওয়ার সব চেষ্টাই তিনি করেছেন। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই মূলত সেই চেষ্টা বিফলে গেছে। সরাসরি এমন কিছু না বললেও তার কথাতে ছিল সেই ইঙ্গিত, ‘সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।’

পরের বক্তব্যে ফারুক স্পষ্ট করে বলেছেন, সাকিবের না আসাতে বোর্ডের কোন দায় নেই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে। আমি মনে করেছি, তার দেশ থেকে অবসর হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর