আঙ্কারায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুলার বলেন, ‘আসাদকে উৎখাত করা নতুন প্রশাসন তাদের প্রথম বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি সম্মান রাখবে তারা।’
তুরস্ক সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা ভাবছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশের সঙ্গেই সামরিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের চুক্তি রয়েছে আঙ্কারার। নতুন প্রশাসন চাইলে আমরা সিরিয়াতেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
২০১৬ থেকে তুরস্ক সীমান্তে অবস্থিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে চারটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে আঙ্কারা। এসব অভিযানের মাধ্যমে সেখানকার ভূখণ্ডও দখল করেছে।
রয়টার্স জানায়, বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের কয়েক হাজার সেনা অবস্থান করছে।
সময় হলে এসব সামরিক ঘাঁটি নিয়ে নতুন প্রশাসনের সঙ্গে ‘আলোচনা ও পুনর্মূল্যায়ন’ করা হবে বলে মন্তব্য করেন গুলার।
কুর্দি বিদ্রোহীদের নির্মূল করার ডাক
গুলার জানান, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীদের নির্মূল করাই আঙ্কারার প্রধান লক্ষ্য। তিনি দাবি করেন, এই লক্ষ্যের কথা ওয়াশিংটনকেও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) সিরিয়ার সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান মিত্রও তারা।
এদিকে তুরস্কে অবস্থিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) দীর্ঘদিন ধরে আঙ্কারার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
গুলার বলেন, ‘আজ হোক বা কাল হোক, নতুন সিরিয়ায় কুর্দি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে।’