শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

ঢাকায় তীব্র শীত কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

অনলাইন ডেক্স
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫
ঢাকায় তীব্র শীত কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস । সংগৃহীত ছবি

গত দুদিন রাজধানীতে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন নগরী।সেই সঙ্গে থেমে থেমে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে রাজধানীতে জেঁকে বসেছে তীব্র শীতের অনুভূতি। অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন মতে, কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা না মেলায় রাজধানীতে কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। এ কারণে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। আরও তিন-চার দিন একই অবস্থা থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা আর কমবে না।

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পৌষের বেশির ভাগ সময় চলে গেলেও রাজধানীতে এতদিন তেমন শীত পড়েনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলেও রাজধানীর অবস্থা ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিনে বিকেল থেকেই রাজধানীতে কমতে থাকে তাপমাত্রা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় হিমেল হাওয়া।

বছরের দ্বিতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল নগরী। সারা দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। একই অবস্থা রয়েছে শুক্রবারও। সকাল থেকে যেন বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ঘরে-বাইরে সর্বত্র অনুভূত হচ্ছে তীব্র ঠান্ডা।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন শীতের কারণে মানুষ তেমন ঘরের বাইরে বের হয়নি। যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারাও মোটা শীতবস্ত্র পরেছেন শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে। তারপরও যেন ঠান্ডার হাত থেকে রেহায় নেই।

হিমেল হাওয়ায় কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে শরীরে। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকায় কনকনে ঠান্ডা নিয়েই কাটাতে হচ্ছে তাদের। কেউ কেউ আবার ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে জ্বালাচ্ছেন আগুন।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে ঢাকায় এত শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শীতকালে তাপমাত্রা কমবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কুয়াশার কারণে দিনের বেলা সূর্যের তাপ না পড়ায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গেছে। সাধারণত জানুয়ারি মাসে রাতের তাপমাত্রা কমে যায় এবং দিনের বেলা সূর্যের তাপের কারণে তাপমাত্রা বাড়ে। এ কারণে শীতের অনুভূতি এত বেশি হয় না। কিন্তু গত দুই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে থাকার কথা ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।’

তিনি আরও জানানা, ‘পুরো জানুয়ারি মাস ঠান্ডা থাকবে। তবে গত দুইদিন যে অবস্থা রয়েছে সেটি সোমবার-মঙ্গলবারের মধ্যে কেটে যাবে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে এখন যে অবস্থা রয়েছে এর থেকে তাপমাত্রা আর কমবে না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর