মন খারাপের সময়টায় কী করবেন?

ছোট্ট একটা জীবন, কখনো আনন্দ, কখনো বেদনার রেশ। এর মাঝেই জীবনের আঁকিবুঁকি। আসলে আমাদের জীবনটা সবসময় একই সরলরেখায় চলে না। তাই তো জীবন চলার পথে ছন্দপতন হলে আমরা মুষড়ে যাই, হয়তো খেই হারিয়ে ফেলি। নতুন কিছু করার উদ্দীপনা খুঁজে পাই না। কিন্তু জীবন তো রেনেসাঁ ব্যান্ডের সে গানটির মতোই, ‘জীবন কাঁদামাটির কোনো মূর্তি নয়, আঘাত দিলে ভেঙে যাবে।’
তাই খারাপ সময়ে ভেঙে পড়া যাবে না। এ সময়টাতে নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে ধৈর্য ধরতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় ‘What’s Next’ এ বুলি আউড়ে পরবর্তী ধাপের কথা ভাবাটাই এমন সময়ে বেশি কার্যকরী।
থামুন
হ্যাঁ, থামতে হবে। মন খারাপ অবস্থায় কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক আছে এমন ভাব দেখালে সেটা সাময়িক সমাধান। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল পেতে সবকিছু থেকে একটু বিশ্রাম নিন। পারলে দূরে কোথাও ঘুরে আসুন। বই পড়ুন, গান শুনুন, নিজেকে সময় দিন। ধর্মে বিশ্বাসী হলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনায় মনের না বলা কথাগুলো খুলে বলুন।
কাঁদুন
খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে? পৃথিবীতে আপনার আপন কেউ নেই? কেউ আপনাকে ভালোবাসে না? প্রচণ্ড যন্ত্রণায় হাউমাউ করে কাঁদতে মন চায়, তাহলে কাঁদুন। ছেলেদের কাঁদতে নেই, এটা ভুল ধারণা। কাঁদতে মন চাইলে কাঁদুন। রুমের দরজা বন্ধ করে কাঁদুন। এতে মন হালকা হবে। আপনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।
ভাবুন
পৃথিবীর সকল ভাবনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। আত্মনিমগ্ন হন কিছুটা সময়ের জন্য। নিজের ভেতরে ডুব দিন। তুলে নিয়ে আসুন আপনার ভেতর লুকিয়ে থাকা না বলা ভাবনাগুলো, ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। দেখবেন মনের ভাবনাগুলো লেখার পর হালকাবোধ করবেন।
ঘুমান
মন খারাপের সময় না ঘুমিয়ে জেগে থাকলে মন আরো খারাপ হবে। তাই রাত না জেগে ঘুমিয়ে পড়ুন, এতে মন ফ্রেশ হবে। ঘুম থেকে উঠে হালকাবোধ করবেন।
ব্যস, এভাবে নিজেকে সময় দিয়ে পরবর্তী কাজের জন্য প্রস্তুতি নিন। জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। জীবন মানেই কাজ, তাই কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। জীবনকে উপভোগ করুন। এসব মন খারাপকে মনে বাসা বাঁধতে দেবেন না। ঠিক যেমন উড়ে যাওয়া কাককে আপনি মাথার ওপর বাসা বাঁধতে দেন না।