আখাউড়ায় মোগড়া ইউপি প্রশাসকের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এ.এইচ মামুন ভূইয়ার অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মোগড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের বেনারে মঙ্গলবার সকালে মোগড়া বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে প্রশাসক মামুন ভূইয়াকে দূর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।’
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ ছায়েব আলী, মোঃ বিল্লাল আহমেদ, সহিদ মিয়া, খুদেজা বেগম ও মহিউদ্দিন প্রমুখ’।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মামুন ভূইয়া মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ হওয়ার পর দালাল সৃষ্টি করে জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সনদ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। সেবা প্রত্যাশী জনগণের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য ইউনিয়ন থেকে এনে মামুন ভূইয়াকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই মানুষকে মামলার ভয় দেখায়। বক্তারা, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মামুন ভূইয়াকে অপসারণ করে অবিলম্বে পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান।’
উল্লেখ্য, বিগত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর মামলা জনিতে কারণে আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের ৪টিতে চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত থাকায় উপজেলার ৩টি ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান এবং মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে ডাঃ এএইচ মামুন ভূইয়াকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি আখাউড়া উপজেলা প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালটেন্ট এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ছেলে’।
এ ব্যাপারে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এএইচ মামুন ভূইয়া বলেন, ৫ আগষ্ট পরবর্তী আখাউড়ায় থানায় একটি বিষ্ফোরক মামলা হয়। ছায়েব আলী সে মামলার একজন আসামী। আমার বাবা যেহেতু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাই ছায়েব আলী আমার উপর আক্রোশ হয়ে এ মানববন্ধন করেছে। পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওয়ারিশ সনদ বাবদ সরকারি রশিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়।’