বরগুনায় ফের পথশিশু ধর্ষন চেষ্টা

আলোচিত ধর্ষন চেষ্টা মামলার বাদীকে হত্যার ঘটনার পরে বরগুনায় ফের আট বছরের এক পথশিশুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষন চেষ্টায় অসুস্থ শিশুটিকে ৭ দিন ধরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার নামে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতার নাম মো. মোসলেম মিয়া (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে বরগুনা থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে পৌরশহরের নয়াকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ঝালমুড়ি বিক্রেতার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী শিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় বসবাস করতেন।
শিশুটির স্বজনদের সূত্রে জানাগেছে, গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশু ফাহিমাকে চকোলেট খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতা। এ সময় তার পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে সদর হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে খুজে পায়নি কেউ। একপর্যায়ে তার খোঁজ পাওয়া যায় বরগুনা সদর হাসপাতালের ৫ম তলার একটি ওয়ার্ডে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেমকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে সারারাত অভিযান চালিয়ে আমরা নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী তিনজনকে আটক করি। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করেছে এবং আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এ ধরনের ঘটনা সরকারি সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কীভাবে ঘটল, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল কি না, কোনো স্টাফ এতে জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’