মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৫৩ জন পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ২০২৫ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ৭ হাজার ৫২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার ১৭টি কেন্দ্র একযোগে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ৫ হাজার ৮১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৭২৯ জন, অনুপস্থিত ৮৫ জন। দাখিল পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৬৮ জনের মধ্যে ৬৩ জন অনুপস্থিত এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম তালুকদার জানান, “শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কেউ অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যা বা অন্যান্য জরুরি কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। আমরা চেষ্টা করবো পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে।”
প্রথম দিনের পরীক্ষা ছিল বাংলা ১ম পত্র। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। কেন্দ্রসমূহে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কঠোর নজরদারিতে ছিলেন এবং পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজেও একাধিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “অভিভাবক, শিক্ষক, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরীক্ষার প্রথম দিন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও এভাবেই সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছর মুরাদনগর উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৫২৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল শাখায় অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যেকোনো অনিয়ম ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কঠোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে শিক্ষকদের পাশাপাশি পরিবার থেকেও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজ।