গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাদক দুর্নীতি ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বা সমাজে মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের একতা বাজারে স্বিরাতুল মুস্তাকিম ইসলামী পাঠাগারের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শেষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলটি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, তালুক বেলকা বাইতুন মামুর জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম শামীম, পাঠাগারের উপদেষ্টা ও সুন্দরগঞ্জ সদর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আজিজ, উপদেষ্টা মাওলানা আবু ইউসুফ, ব্রাইট ড্রিম মডেল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম, পাঠাগারের সাবেক সেক্রেটারি নুর আলম সিদ্দিকী প্রমূখ। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, তরুণ সমাজ ও পাঠাগারের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সমাজকে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও মাদকমুক্ত রাখতে হলে শুধুমাত্র প্রশাসনের উপর নির্ভর করলেই চলবে না। আমাদের পরিবার, পাড়া-মহল্লা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্র যেখানে আমরা প্রতিদিন জীবনযাপন করি, সেখানে নিয়মিত সচেতনতা ও আন্তঃসম্পর্কের মাধ্যমে প্রতিরোধের বলয় গড়ে তুলতে হবে। তবেই মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রবেশদ্বার রোধ করা সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, ‘এই একতা বাজারে এখন হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় মাদক যেন হয়ে উঠেছে দৃষ্টিসীমার মধ্যকার এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। এই সহজলভ্যতার সুযোগে তরুণ সমাজ প্রতিনিয়ত বিপথে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া সমাজ রক্ষা করা সম্ভব নয়।
বক্তারা বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও অপরাধ থেকে বাঁচাতে হলে তাদের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে। পাশাপাশি ইমাম-মুয়াজ্জিন, শিক্ষক, অভিভাবক, প্রতিবেশী ও সহপাঠীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। সকলে মিলে একসাথে এগিয়ে এলেই বদলাবে সমাজ।’
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে রঙিন প্ল্যাকার্ড ও জোরালো স্লোগান নিয়ে সমাজে সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেন। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ‘মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো’, ‘ইভটিজিং থামাও, সমাজ বাঁচাও’ এমন অনেক শক্তিশালী আহ্বান।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের মধ্যে সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে এক ধরনের ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা গড়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক দিক নির্দেশনা দেবে।