রাঙ্গুনিয়া রাতের আঁধারে গায়েবি মাজার নির্মানের অভিযোগ

যুগে যুগে আওলিয়ে কেরামগণ ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যার কারণে সাধারণ মুসলমানরা আউলিয়ে কেরামগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান করে থাকেন। আউলিয়ায়ে কেরামগণের কথা বললে মুসলমানদের অন্তরে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জন্মায় কিন্তু একদল অসাধু মানুষ সাধারণ মুসলমানদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে মাজার ব্যবসা শুরু করে দেয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১নং রাজানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বাইশ্যেরডেবা এলাকায় মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী জানু আক্তার নামের এক মহিলা খাজা বাবা’র আস্থান নাম দিয়ে রাতের আধারে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় মাটি কেটে ভন্ড গায়েবি মাজার তৈরি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন পর পর বাইশ্যের ডেবা এলাকায় একেক ভন্ড মহিলারা ধান্দা করার জন্য মাটি পেটে মাজার উঠে স্বপ্ন দেখে বলে রাতারাতি কথিত ভন্ড গায়েবি মাজার তৈরি করে ফেলে। এসব ভন্ডদের সাথে কিছু স্থানীয় অসাধু মানুষও জুটে যায়। এগুলো সব ভন্ডামি, সহজ সরল মুসলমানদেরকে ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, রাজানগর বাইশ্যের ডেবা এলাকায় বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী জানু আক্তারের ঘরটি ছিল মাটির তৈরি। গত ২০১৭সালের বন্যায় মাটির ঘরটি ভেঙ্গে পাশে থাকা পানির কুপে পড়ে আর্সেনিকযুক্ত মাটি থাকার কারণে পানি লালা হয়ে গেলে জানু আক্তার রক্ত দেখা গেছে বলে প্রচার করতে থাকে। তারপর থেকে সেখানে একটি গায়েবি ভুয়া মাজার করে করার পরিকল্পনা করেন। বিগত দুই মাস পূর্বে ওই মহিলাকে রাউজান নোয়াপাড়ার এক কথিত মহিলা বৈদ্য নতুন করে ধান্দা করার জন্য সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ভন্ড গায়েবি মাজার নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এছাড়াও একি এলাকায় আরো কয়েকটি এই রকম গায়েবি মাজার রয়েছে।
এই এলাকায় দিন দিন একের পর এক ভন্ড গায়েবি মাজার নির্মাণ করার মাধ্যমে সহজ সরল মুসলমানদেরকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছেন অথচ এ ব্যাপারে আলেম সমাজরা নিরব ভূমিকায় রয়েছে বলে আক্ষেপ ঝাড়ছেন স্থানীয়রা। এসব ভন্ড মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।