চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে রফতানি কার্যক্রমে যুগান্তকারি পদক্ষেপ

কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট চট্টগ্রাম রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি বন্ড সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রফতানি কার্যক্রমকে দ্রুততর করতে যুগান্তকারি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশে অধিক হারে রফতানিমুখী শিল্প স্থাপন ও এ-সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত অনলাইনে পেতে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট-চট্টগ্রামের নামে অনলাইন ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। মূলত: কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট-চট্টগ্রামের আওতাধীন রফতানিমুখী শিল্পের বন্ড সুবিধা ব্যবহারকারিরা যাতে এই অনলাইন ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ফাইল চলাচলের অবস্থানসহ হালনাগাদ যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন, সে জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বন্ড কমিশনারেটে অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবসাইট চালুর ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলের রফতানিমুখী শিল্প উদ্যোক্তারা এখন এ সংক্রান্ত সব তথ্য নিজেদের অফিস ও বাসায় বসেই জানতে পারছেন।
কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ শফিউদ্দিন বলেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে যাতে রফতানিমুখী শিল্পের বিকাশ, রফতানি আয় বৃদ্ধি এবং এই খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, সেই লক্ষ্যে বন্ড কমিশনারেটের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কোন কাজে সমস্যা হলে প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন অথবা সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ২০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ সময়ে বেশী রাজস্ব আয় হয় ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এআইটি ও এটি ব্যতিত আদায় হয় ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আর ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মার্চ মাসে এআইটি ও এটি ব্যতিত রাজস্ব আয় হয় ২৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া শুল্ক ফাঁকির কয়েকটি ঘটনা উদাঘাটনের মাধ্যমে জরিমানাসহ আদায় করা হয় বিপুল অংকের রাজস্ব।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বন্ড কমিশনারেট হিসেবে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট-চট্টগ্রামের যাত্রা শুরু হয়। রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি ও ব্যবহার তদারক করে এই সংস্থা।
বাংলার সংবাদ/এস এম