মাদারীপুরে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বেকারত্ব সমস্যা, অন্ন-রুটি-রুজির তাগিদে ইজিবাইক-রিকশা চালাচ্ছেন অনেকেই

মাদারীপুরে ক্রমান্বয়েই বেড়ে চলেছে বেকার মানুষের সংখ্যা। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বাঁচতে গরীব মানুষ ও কম লেখাপড়া জানা মানুষের পাশাপাশি এখন অনেক শিক্ষিত বেকার মানুষও বেছে নিচ্ছেন ইজিবাইক ও রিকশা-ভ্যান চালনার কাজ। বেকারত্ব ঘোচাতে এক্ষেত্রে সবাই যেনো ঝুঁকে পড়ছেন ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা ও ইজি বাইকের দিকে। মাদারীপুরের সর্বত্র এখন এগুলোর দাপট। মাদারীপুর জেলার বাইরের বিভিন্ন জেলা যেমন- মাগুরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল,সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া,পাবনা,যশোর, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, কুড়িগ্রাম,গাইবান্ধা সহ অন্যান্য জেলার মানুষও মাদারীপুরে এসব যানবাহন চালানোর জন্য ভিড় জমাচ্ছেন, কেনো তাড়া তাদের এলাকা ছেড়ে মাদারীপুরে আসছেন এ ব্যাপারে অনেকের কৌতুহল রয়েছে, অনেকে বলছেন মাদারীপুরে রিকশা-ইজিবাইকের স্বর্গরাজ্য, অটোভাড়া-রিকশা ভাড়া বেশী পাওয়া যায়, অনেকে বলছেন ৪/৫ আগষ্টের পটভূমি পরিবর্তনের ফলে বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে মাদারীপুর চলে এসেছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যাত্রীর চাইতে এখন এসব যানবাহনের সংখ্যাই বেশী। মাদারীপুর শহরের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র পুরান বাজার, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, চাঁদমারী, কুলপদ্দি চৌরাস্তা, ডাঃ তোতা সড়ক, বটতলা, রেন্ডিতলা, সদর থানা রোড , চরমুগরিয়া বাজার রোড সহ সব খানেই এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইকের দাপটে তৈরী হচ্ছে প্রচন্ড যানজটের- যা কয়েকবছর বছর আগে কল্পনাও করা যেতো না। এগুলোর নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় সবসময় অনেক জায়গায় তাদের ডিউটিতে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মাদারীপুরে ট্রাফিক বিভাগ। এদিকে এসব যানবাহনের আশংঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে ঐতিহ্যবাহী পায়ে চালিত রিকশা প্রায় হারিয়ে যাবার পথে। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে সাধারনতঃ দেখা যায় ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক এমনকি পায়ে চালিত রিকশাও পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের একটা নিবন্ধনের আওতায় থাকে। এক্ষেত্রে মাদারীপুরের পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদগুলো কর্তৃক তেমন কোনো নিবন্ধনের আওতায় এগুলো নেই, যা সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও যানজট কমিয়ে আনতে সহায়ক। এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব হাবিবুল আউয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা ইতিমধ্যে শহরে চলাচলকারী সকল ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক-রিকশা ও পায়েচালিত রিকশা নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিবন্ধন নিয়ে অচিরেই তারা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলাচল করবে এবং যানজট কমে আসবে। তিনি আরো জানান, অন্যান্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলো একই ব্যবস্থা যা’তে গ্রহন সে ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে এবং এতে করে যানজট নিরসনসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, স্বস্তি পাবে মানুষ।