কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও বুঝে গেছে, কিন্তু উখিয়া টেকনাফের সচেতন মানুষ বুঝেনা!

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট: স্থানীয়দের জীবনযাত্রা ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ভয়াবহ প্রভ
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বর্বর নির্যাতন ও দমন-পীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যার বড় অংশ এখন অবস্থান করছে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায়। তবে মানবিক এই আশ্রয় প্রদানের ফলে স্থানীয় জনগণ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব।
স্থানীয়দের সমস্যাবলী:
রোহিঙ্গাদের আগমনের ফলে উখিয়ার জনসংখ্যা হঠাৎ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এর ফলে:
নবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে চাপ বেড়েছে।
স্থানীয় শ্রমবাজারে রোহিঙ্গাদের অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমের কারণে মজুরি কমেছে।
সড়কে যানজট বেড়েছে এবং দুর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি:
রোহিঙ্গা শিবির বসানোর জন্য টেকনাফ-উখিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিশাল অংশ কেটে ফেলা হয়েছে, ফলে হাতি, বন্য শুকর, হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে।
বনাঞ্চলের উদ্ভিদ বৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে।
পাহাড় কেটে সমতল করা এবং জ্বালানির জন্য বন উজাড় করায় মাটির ক্ষয় ও ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে।
স্থানীয়দের জীবনমানের পরিবর্তন:
পানির সংকট বেড়েছে, যা আগে শুধু খরায় দেখা যেত।
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সংক্রামক রোগের বিস্তার বেড়েছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে।
সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে।
পরিবেশগত ক্ষতি ও প্রতিযোগিতার কারণে কৃষি ও মাছ ধরা থেকে আয় কমেছে।
মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও উখিয়ার স্থানীয়রা আজ চরম সংকটে। সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এখন প্রয়োজন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া, যাতে মানবিক সহায়তা ও স্থানীয় স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়।