চাঁদা না দেওয়ায় দুই ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের ছাত্রদল যুবদলের বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নের পারতিল্লি এলাকায় চাঁদার দাবিতে দুই ভাইকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ এপ্রিল রাতে।
ভুক্তভোগী ছোট ভাই মো. হারুন (২৬) একজন হাইড্রোলিক ট্রাক্টর চালক। তিনি জানান, আনুমানিক রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় জোউলার মোড়ে তাকে থামায় শাওন নামের এক যুবক। সে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয় এবং হারুনকে ‘মাটির ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর তার হাত বেঁধে মোবাইল দিয়ে বড় ভাইকে ফোন করতে বলে, টাকা নিয়ে আসার জন্য।
বড় ভাই আব্দুর রহমান (৩৭) ঘটনাস্থলে এসে হারুনকে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান এবং পুলিশ ডাকার কথা বললে, উপস্থিত শাহ্ আলম ও কামরুলের নেতৃত্বে ৮-১০ জন ব্যক্তি দুই ভাইকেই বেধড়ক মারধর করে। পরে তাদের দুজনের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন।
হারুন আরও বলেন, তিনি কাজ শেষে মাটি কিনে ট্রাকে করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাজারে তা বিক্রি করতেন। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে এক-দুই ট্রাক মাটি আনতে বলতেন। এর আগেও তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা নেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, “এলাকায় মাটি ঢুকলে চাঁদা দিতে হবে।”
সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে সাত দিন পর বড় ভাই আব্দুর রহমান সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন- তিল্লী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম (৪০), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিপন (৩২), সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল (২৮), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব উজ্জ্বল হোসেন (৩৩) ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আলম (৩২)।
অভিযোগের বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, “এলাকার কিছু তরুণ হারুনকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। আমরা স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মুরুব্বিদের মাধ্যমে সমাধান করেছি। এখন ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে আমাদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীনুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”