নালিতাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে পক্ষপাতের অভিযোগ

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব সোহেল রানার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রমে পক্ষপাতিত্ব ও অভিযোগ উপেক্ষার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীদের নামে বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে নালিতাবাড়ী থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগগুলো ওসি সোহেল রানা আমলে না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে হতাশা তৈরি হয়েছে।
সবশেষ গত ৩ মে নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নামে হাতে লেখা উসকানিমূলক পোস্টার লাগানো হয়। বিষয়টি থানার নজরে আসার পর ওসি সোহেল রানা কোনো আইনানুগ পদক্ষেপ না নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ দেন পোস্টারগুলো গোপনে সরিয়ে ফেলতে।
এদিকে ৩ মে’র ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের করা একটি লিখিত অভিযোগপত্র থানায় জমা দেওয়ার ৯ দিন পার হলেও কোনো আইনি অগ্রগতি দেখা যায়নি। অভিযোগকারীরা একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ওসি জানান, তিনি থানার বাইরে আছেন এবং “এসপি স্যারের অনুমোদন না পাওয়ায়” ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, থানায় জমা দেওয়া সেই অভিযোগপত্রটি রহস্যজনকভাবে ফাঁস হয়ে সদ্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ এর কিছু নেতা কর্মীদের হাতে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—একটি সংবেদনশীল অভিযোগপত্র কিভাবে পুলিশের হেফাজত থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের হাতে চলে যায়?
সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, এ ধরনের দায়িত্বহীনতা, গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে।
এখন দেখার বিষয়—উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।