শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর মায়ের দোয়ায় মোড়ানো এক দূর দেশের যাত্রা সরিষাবাড়ীতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, মৃত সন্তান প্রসব, ধর্ষক গ্রেফতার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরিষাবাড়ি পৌর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতি গণসংযোগ আত্রাইয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুধী সমাবেশ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার : তৌহিদ সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রতারক আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন নাসিরনগরে দুই কেজি গাঁজা ও মোটর সাইকেল সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই শিশুকে টঙ্গীতে জবাই করে হত্যা

মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে লড়াকু পুঁজি টাইগারদের

শাহ আলী জয়
প্রকাশিত হয়েছে : রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২

অভিজ্ঞতার মূল্য কতটা বেশি, সেটিই যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করা লিটন দাস নেই ইনজুরির কারণে, এমানুল হক বিজয় হাত খোলার আগেই হয়ে গেলেন রানআউট, বাংলাদেশের স্কোরকে কে একটা সম্মানজনক অবস্থায় এনে দাঁড় করাবেন?

এমন প্রশ্ন যখন ভক্তদের চোখে-মুখে, তখনই নিজের বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশও পেলো দারুণ এক চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের পুঁজি সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮৪ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে। আর হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার তামিম ইকবালও। ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। আর ৪১ বলে ৪১ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, এছাড়া ৩৮ রান করে দলের টোটালকে সমৃদ্ধ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবু ম্যাচটি জিততে পারেনি। স্বাগতিকদের দুই ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জয় করে নেয় তারা।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১৩ রান কম করেছে। আজ কী তাহলে জিততে পারবে তামিম ইকবালের দল? নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে যদি ফিল্ডিংটা ঠিক-ঠাক হয়, তাহলে জয় পাওয়া হয়তো কঠিন হবে না।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রতিরোধ করে না দাঁড়ালে ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর হতো কি না সন্দেহ। ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সময় তিনি বল খেলেছেন ৬৯টি। পরের ১৫ বলে করেছেন ৩০ রান। তাও শেষ ওভারের শেষ দুই বল থেকে রানই নিতে পারেননি।

আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে চলতি জিম্বাবুয়ে সফরে টানা পঞ্চমবারের মতো টস হেরেছে বাংলাদেশ দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন তামিম। ইনিংসের তৃতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকান টাইগার অধিনায়ক, এক বল পর আরও একটি।

প্রথম ওভার থেকে শুরু হওয়া এই মারমুখী ব্যাটিং পুরো ইনিংসেই টেনে নেন তামিম। প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানরেট সবসময় উঁচুতে রাখেন তিনি। তামিমের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে একপ্রকার দর্শকই ছিলেন বিজয়। প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১৬ বল খেলার সুযোগ পান এ ডানহাতি ওপেনার।

ইনিংসের দশম ওভারে নিজের দশম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। যেখানে ছিল থার্ড ম্যান দিয়ে একটি ছয়ের মারও। অভিষিক্ত ব্র্যাডলি ইভান্সের খাটো লেন্থের ডেলিভারিতে আপার কাট করে ছয় মারেন তামিম। সেই ওভার থেকে ১৪ রান পায় বাংলাদেশ।

তামিমের ফিফটি পূরণ হওয়ার পর ১১তম ওভারে জোড়া চার মারেন বিজয়। এর মধ্যে ওভারের তৃতীয় বলে দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে মাঠে উপস্থিত দর্শকদের বাহবা কুড়ান এ ডানহাতি ওপেনার। তবে সেই ওভারেই শেষ বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তামিম।

মাঠের সেই পাশে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মিটার। সেই বড় বাউন্ডারিতে ছক্কার চেষ্টায় ভাঙে তামিম-বিজয়ের ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি। অধিনায়ককে হারানোর পর বিজয় ও শান্তর কাঁধে আসে ইনিংস এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব। ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে দারুণ ড্রাইভে সেই মিশনে নিজেকে প্রস্তুত ঘোষণা দেন শান্ত।

কিন্তু এক বল পর তার স্ট্রেইট ড্রাইভ তানাকা চিভাঙার হাতে লেগে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে সেটি স্ট্যাম্পে আঘাত করতে দেখেন বিজয়। কিন্তু ব্যাট ভেতরে ঢোকানোর মতো সময় তিনি পাননি। ফলে ২০ রানেই থেমে যায় বিজয়ের ইনিংস।

তিন ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে রানরেট খুব একটা কমতে দেননি। দুজন মিলে ১০.৪ ওভারে যোগ করেন ৫০ রান। তামিমের মতো বাউন্ডারি নির্ভর ব্যাটিং না করে সিঙ্গেল-ডাবলসের ওপর নজর দেন মুশফিক।

যদিও মুশফিকের বিদায় তামিমের মতো ঠিক বড় পাশ দিয়ে মারতে গিয়েই। ওয়েসলে মাধভেরের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল দারুণ স্লগ সুইপ করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সীমানার অনেক আগেই টনি মুনিয়োঙ্গার হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে এক চারের মারে ৩১ বলে ২৫ রান করেছেন মুশফিক।

মুশফিকের পর নাজমুল শান্তকেও সাজঘরে পাঠান মাধভের। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি সম্ভাবনা জাগানো শান্ত মাধভেরের করা ৩০তম ওভারে লেট কাট করার চেষ্টা করেছিলেন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ৫৫ বলে ৫ চারের মারে খেলা তার ক্যারিয়ার সেরা ৩৮ রানের ইনিংসের।

এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি বাধেন। ৮১ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন তারা দু’জন। আফিফ দারুণ খেলছিলেন। ৪টি বাউন্ডারি মেরে রানকে ৪১ – এ নিয়ে যাওয়ার পর সিকান্দার রাজার বলে চিভাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

মেহেদী হাসান মিরাজ এসেও কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১৫ রান তোলেন তিনি। তাসকিন আউট হন ১ রান করে। তাইজুল ইসলাম ৪ বলে ৬ রান করে বিদায় নেন। শেষ বলে রানআউট হন শরিফুল। ৮৪ বলে ৩ ছক্কা এবং ৩ বাউন্ডারিতে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর