তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগ বিবাহিত, অছাত্র ও চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী দিয়ে কমিটি গঠন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিবাহিত, অছাত্র ও চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের দিয়ে গঠনের অভিযোগ উঠেছে। নতুন এ কমিটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা সমালোচনা ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন পদ বঞ্চিতরা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলন ছাড়াই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাড়াশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
এক বছরের জন্য মোঃ ইকবাল হোসেন রুবেল সভাপতি ও মোঃ শামীম আহমেদ আকাশ কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এদিকে এক বছরের জন্য মনোনীত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রায় দুই বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গত ৩১ জুলাই রাতে ১১৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন।
কমিটিতে ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন করে বিবাহিত, অছাত্র, স্থান পেয়েছেন বলে পদ বঞ্চিতদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ বঞ্চিত কয়েকজন নেতা জানান, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা ৫-এর গ লঙ্ঘন করে সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন রুবেল ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান মাহমুদকে সাধারণ করে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করেছে জেলা ছাত্রলীগ।এই কমিটিতে বিবাহিত ও অছাত্রদের স্থান দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ।
কমিটিতে পদ পেয়েছেন বিতর্কিতরা । এক সময় ছাত্রদল করতেন এমন আওয়ামী বিরোধীরাও পদ পেয়েছেন। ১১৫ সদস্যের কমিটির অন্তত প্রায় ৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সভাপতি ইকবাল হোসেন রুবেল বিবাহিত। তিনি দুই বছর আগে পৌর এলাকার জাহাঙ্গীরগাতী গ্রামের জহুরুল মাস্টার মেয়েকে বিয়ে করেন। সাবেক ছাত্রদল নেতা মো সোহেল রানা , ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে সহ- সভাপতি পদ পেয়েছেন। এছাড়া নতুন কমিটিতে নির্ধারিত বয়স ২৯ পার হওয়ার পরও অন্তত পাঁচজন ।বিবাহিত ,সাত জন, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী ও অছাত্র রয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ ছাড়াও কমিটিতে স্থান পাওয়া বিবাহিতরা হলেন- সভাপতি ইকবাল হোসেন রুবেল,সহ-সভাপতি রাফসান আহমেদ রিজন ,বিদ্যুৎ কুমার, নাছিম আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মন্ডল,প্রচার সম্পাদক ছোটন আহমেদ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন সবনম ক্রীড়া সম্পাদক সৈকত সরকার সজীব – পরিবেশ সম্পাদক মোঃ তানভির রহমান জয়, তাদের কেউ কেউ চাকরিজীবী আবার কেউ কেউ ব্যবসায়ী।কারো তিন চার বছরের বাচ্চা রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ আকাশ বলেন, সাবেক কোনো নেতার সঙ্গে সমন্বয় না করে আওয়ামী বিরোধী আর বিবাহিত, অছাত্র, নিয়ে কমিটি গঠন করায় দলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন রুবেল বলেন, আমাদের প্যাডে এ কমিটি দেওয়া হয়নি। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ বিন আহম্মেদ জানান, থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটির তালিকা দিয়েছেন। আমরা সেটা অনুমোদন করেছি। আমরা সবাইকে চিনি না। গঠনতন্ত্রের বাইরে কাউকে কমিটিতে পদ দেওয়া হলে এবং অভিযোগগুলা প্রমাণ হলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।