কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবলীগ নেতার হামলায় শিকার সিএইচসিপি

লালমনিরহাটে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের (৩৮) হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রিতা আক্তার (৩৪) নামে কমিউনিটি ক্লিনিকের এক প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)।
শনিবার (২০ আগস্ট) সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ঘটে এ ঘটনা।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের নছিয়ত উল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক।
ভুক্তভোগী রিতা আক্তার লালমনিরহাট পৌরসভার সাপ্টানা উচাটারী এলাকার ইসরাফিলের স্ত্রী।
জানা গেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে চাকরি করেন রিতা আক্তার। চাকুরির সুবাদে প্রতিদিন কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে তাকে যেতে হয়। কর্মস্থলে যাওয়া-আসার এবং তার কর্মস্থলে গিয়েও ইপটিজিং করতেন যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠক করে ওই যুবলীগ নেতাকে আচরন সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তার এমন কর্মকাণ্ড ঠিক না করে বরং ওই নারীর ওপরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
পরে শনিবার রিতা আক্তার কর্মস্থলে গেলে একটি লোহার রড নিয়ে তার অফিসে গিয়ে পুনরায় কু-প্রস্তাব দেন ওই যুবলীগ নেতা। সেটি প্রত্যক্ষান করায় জোর জরদস্তি করে শাড়ি টেনে-হেচরে শ্লীলতাহানী করেন তিনি। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে মারধর শুরু করেন। পরে রিতা আক্তার চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রিতা আক্তার বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আবুল কালামের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতা। এখন অভিযোগ তুলে নিতে বাদির পরিবারকে হুমকী দিচ্ছেন বলেও জানান রিতা আক্তার।
সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃজনক। এটা তার ব্যাক্তিগত দায়। তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্তের প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।