শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনে বাঁধা, ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী, পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ

সিরাজগঞ্জে সরকারী ইজারা নেওয়া বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনে বাঁধা, ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী, মারপিট ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের জিয়ারপাড়া বালুমহালে বালু উত্তোলনের সময় বালু ব্যবসায়ী সাত্তার গং চাঁদা দাবী ও বিভিন্ন হুমকি-থামকি দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর সদর উপজেলার জিয়ারপাড়া বালুমহালের ইজারাদার মো. ফয়সাল ওয়াহিদ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরকারী ইজারার মাধ্যমে (স্মারক নং-৩১.৪৩. ৮৮০০. ০১৮.০১. ০০৩. ১৯৩৯০) পাঁচ কোটি টাকা ইজারা মূল্যে জিয়ারপাড়া বালুমহাল ইজারা নেন মো. ফয়সাল ওয়াহিদ। সেই মোতাবেক যথারিতি জিয়ারপাড়া বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার সকালে বালু ক্রেতাগণ ভাল্কহেড ড্রেজার নিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য জিয়ারপাড়া বালুমহালে আসলে কুখ্যাত জলদস্যু ও খুনী বালু ব্যবসায়ী সাত্তার, হোসেন আলী, মাসুম খান, জাহিদ, জুয়েল, নজরুল, সোহেলসহ অজ্ঞাত আরো ৫০জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র হয়ে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়। পরে হোসেন আলী, জাহিদ ও নজরুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাল্কহেড ড্রেজারের শ্রমিকদের মারপিট করে এবং তাদের নিকট ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এসময় ড্রেজারের শ্রমিকদের হত্যা ও গুম করার হুমকি দেন সন্ত্রাসী বাচ্চু ও সোহেল। পরে বালু ব্যবসায়ী সাত্তার গং এর নির্দেশে জিয়ারপাড়া বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে জিয়ারপাড়া বালুমহালের ইজারাদার মো. ফয়সাল ওয়াহিদ বলেন, সরকারীভাবে ইজারা নেওয়া বালুমহালে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় আমার সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে সাত্তার গং। আমার ইজারাকৃত বালু মহলে বালু সাত্তার গং বালু নিতে আসা বাল্কহেড এর ছুকানীদের মারপিট ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এই কারণে আমি বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, বালু সাত্তারের নির্দেশে মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে ফরিদপুর সিএনবি ঘাটে যাওয়ার পথে শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিনোটিয়া গ্রামের দক্ষিণ পার্শ্বে নদীতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার মো. ওহাব মৃধার ছেলে মো. লুৎফর (৪০), রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী থানার মো. আক্কাছ আলীর ছেলে মো. নুর আমীন (৩৫), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার মো. জয়েন উদ্দিন সরকারের ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ ও বেলকুচি উপজেলার মুকন্দগাতী এলাকার মো. কাইয়ুম (৪০) সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭জন সন্ত্রাসী ভলগেট থামিয়ে অর্তকিতভাবে হামলা করে ভলগেটে থাকা শ্রমিকদের এলোপাথারী মারপিট, নগদ অর্থ লুট ও ভাংচুর করে। অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী সাত্তার বলেন, বালু মহাল থেকে ইজারা নিয়ে যে যার মত বালু উত্তোলন করছে। আমি মঙ্গলবার জিয়ারপাড়া বালু মহাল দেখার জন্য গিয়েছিলাম মাত্র।
এ বিষয়ে আমার বা আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর কোন অভিযোগ হয়েছে কি না আমি জানি না। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, বালু মহালে চাঁদাদাবীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর