তাড়াশের রুপা ধর্ষণ ও হত্যার ৫ বছর, শুরুই হয়নি আপিল শুনানি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের জেলহক প্রামাণিকের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ।
এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রায় হলেও আজও সাজা কার্যকর হয়নি। সাজাপ্রাপ্তরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর সাড়ে ৪ বছর পার হয়েছে। অথচ এখনো শুনানিই শুরু হয়নি। আর এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা হতাশ।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে মেধাবী ছাত্রী রূপাকে ছোঁয়া পরিবহনের চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে ওই পরিবহনের শ্রমিকরা। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া রূপা হত্যা মামলার রায়ে ৪ আসামির ফাঁসি ও একজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ছোঁয়া পরিবহণের সেই বাসটি রূপার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন।
নিম্ন আদালতের রায়ের পাঁচ দিন পর ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত সব আসামি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। সেই থেকে আজ অবধি মামলাটির আপিল শুনানিই শুরু হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে রুপার বড় ভাই ও মামলার বাদি মো. হাফিজুর রহমান প্রামানিক বলেন, হাইকোর্টে সাড়ে চার বছর ধরে মামলাটির আপিল শুনানিই শুরু হয়নি। তাই এখন অল্প সময়ে আমরা বিচার পাওয়ার আশা নিয়ে রীতিমত হতাশও হয়ে পড়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্য থেকে রূপার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর ওই সময় রূপার পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী, হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। পরে প্রত্যেক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।