আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান

নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো বল প্রয়োগ করা যাবে না। তবে করার মতো পরিস্থিতি হলেও তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে এবং সম্ভব হলে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে সাভার সেনানিবাসে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সেনাবাহিনী। সরকারের দেওয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চায়। দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী ব্যস্ত রয়েছে এবং দেশের শান্তির জন্যই কাজটি করে যেতে হবে।’
‘আমরা মনে করেছিলাম তাড়াতাড়ি কাজটি শেষ করে সেনানিবাসে ফিরে আসব, তবে কাজটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে’ – উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘যদিও সেনাবাহিনী বহুদিন ধরে কাজটি করে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত ধৈর্য এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। কারণ দেশ ও জাতির জন্য এই সেবাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন না নির্বাচিত সরকার পাই, ততদিন দেশে জাতির কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে হবে। দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে ধৈর্যের সঙ্গে কাজটি করে যেতে হবে।’
ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে নিয়োজিত থাকাকালীন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল কাজ করা যাবে না- সে বিষয়ে সতর্কতা বজায় রাখার পাশাপাশি তা নজর রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেন সেনাপ্রধান। এ সময় সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে দেশের শান্তির শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলেও জানান তিনি।’
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেনাপ্রধান নিজে ফায়ারিংয়ে অংশ নেন।পরে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে তেত্রিশ পদাতিক ডিভিশন। আর রানারআপ হয়েছে সাত বিগ্রেড ডিভিশন।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর নয় পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ সেনাবাহিনীর উদ্বোধন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।’