ঝগড়া হলেই কামড় দেয় লাকি আক্তার

পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মানসুরার নাক কামড়ে ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ১৫ মার্চ আহতের স্বামী মনির মিয়া বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত লাকি জেল হাজতে থাকলেও তার মুক্তি হলে আবারও এমন ঘটনায় ভুক্তভোগী হওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এনিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে লাকির প্রতিবেশীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লাকির প্রতিবেশীরা জানান, শিশুদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হতেন লাকি আক্তার। গত ১১ মার্চ একই বিষয়ে মানসুরার সাথে ঝগড়া হয় লাকি আক্তারের। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মানছুরা বেগমকে কামড় দিয়ে তার নাকের মাংস ছিড়ে নেয় লাকি আক্তার। মানসুরা ছাড়াও লাকি প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হতেন। কিছু হলেই মানুষকে কামড়ে দিত। কারাগার থেকে যদি লাকি বের হয়ে আসে তাহলে সে আবারও বিভিন্ন লোককে কামড়াবে।
আহত মানছুরা বেগম উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত লাকি আক্তার একই গ্রামের মুখলেস মিয়ার স্ত্রী। মনির মিয়া ও মুখলেস সহোদর।
এ বিষয়ে আহত মানছুরা বেগম বলেন, কিছু হলেই লাকি আমাদের উপর হামলা করে, যাকে-তাকে কামড়ে দেয়। এর আগেও সে অনেক লোককে কামড় দিয়েছে।
মামলার বাদী ও আহতের স্বামী মনির মিয়া জানান, লাকি প্রায় সময়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়া করে। কিছু হলেই মানুষকে কামড়ে দেয়। আমার স্ত্রীকে কামড়ে নাকের মাংস নিয়ে গেছে লাকি।
এব্যাপারে পূর্বভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া বলেন, এ ঘটনাটি নিয়ে একবার সালিশ হয়েছিল। তারা দুই জাল ঝগড়া করে একজন আরেক জনকে কামড়ে নাক ছিড়ে ফেলেছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত লাকি জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।