বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
‘দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ছেলে ফিরেনি’ – শহীদ আরাফাতের মায়ের আক্ষেপ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় এনজিওর এক নারী কর্মীর ঝুলন্ত মরাদেহ উদ্ধার জামায়াত ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াতের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম লেবু চাটমোহরে জি আর চাউল বরাদ্দে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক গ্রুপের তৎপরতায় ট্রেনেইসেবা পেলেন হাত কেটে ফেলা যাত্রী শীর্ষস্থানীয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রধান শিক্ষক ওঅত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে গঠন নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে গঠন নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে গঠন নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ

 
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কমিটি গঠন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উল্লেখযোগ্য কয়েকটা উপজেলায় উত্তেজনা হলেও বর্তমানে সেগুলোর সমাধান করে ফেলেছেন জেলা কমিটির উর্ধতন নেতৃবৃন্দ। ইদানীং নবীনগর উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা সকলের নজর কেড়েছে। দুটি পক্ষের নেতারা নিজ নিজ কমিটির নেতা দাবি করছেন। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বিগত কমিটির সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম নিজেকে এখনও সভাপতি হিসেবে দাবি করছেন। অপরদিকে নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মেহেদী হাসানের নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের অনুসারীরা। 
নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশন হলে সেখানে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। যদিও আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নবীনগর শাখার সভাপতি দাবি করেন মাওলানা আমিরুল ইসলাম। তিনি আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন। 
মাওলানা আমিরুল ইসলামের ভাষ্য, কাউন্সিল অধিবেশনে ৯৭ শতাংশ ভোটার তাঁকেই পুনরায় সভাপতি হিসেবে সরাসরি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। তখন মেহেদী হাসান বাধা দেন। একই সঙ্গে হুমকিধমকি দেওয়াসহ মারমুখী আচরণও তিনি করেন। গঠনতন্ত্রবিরোধী আচরণ করে মেহেদী কমিটি ঘোষণায়ও নিষেধ করেন। জেলার নেতারা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কমিটি পরে ঘোষণার কথা জানিয়ে কাউন্সিল সমাপ্ত করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা আমিরুল বলেন, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের উচিৎ নবীনগর এসে আবারো কাউন্সিল অধিবেশন ডেকে তৃণমূল নেতাকর্মীর সরাসরি ভোটে কমিটি ঘোষণা করা। 
এদিকে কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাওলানা মেহেদী হাসান নির্বাচিত হয়েছেন। এই দুই নেতার অনুসারীরাই এসব ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। 
নতুন এই কমিটির অনুমোদন রয়েছে বলে দাবি করেন মাওলানা মেহেদী হাসান। তাঁর দাবি, ১৫ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের অধিবেশনের পরবর্তী সময়ে জেলা কার্যালয়ে জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি গঠিত হয়। এতে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ  সভাপতি ও তিনি (মেহেদী হাসান) সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। 
কমিটির অনুমোদনের কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, শিগগিরই তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানেই অনুমোদনের কাগজ উপস্থাপন করা হবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম বলেন, ওই কাউন্সিল অধিবেশনে আমরা কমিটির ঘোষণা করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় ও উপজেলার নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় মুফতি বেলায়েতুল্লাহকে সভাপতি  ও মাওলানা মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে তবে অফিসিয়ালি ভাবে এখনও আমরা কোন চিঠি ইসু করিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর