শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের; বিশ্বকাপ নিশ্চিত পাকিস্তানের মাগুরা মেডিকেল কলেজ বন্ধের গুজব উড়িয়ে দিলেন শফিকুল আলম শাহজাদপুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা ও জমি দখলের পায়তারা। নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া গ্যাস গান উদ্ধার যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে ৩৯০ জন আটক  বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ  প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে অটো ও ইজিবাইক চলাচলে টোল ফ্রি সুবিধা জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

কোটা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫
কোটা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ
কোটা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহত পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে আজ সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকেও কোটাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কোটা বৈষম্যকে বিলোপ করার জন্য যেই ২০১৮ সালে আন্দোলন করেছিলাম। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। কিন্তু আমরা ৭ মাস পার না হতেই দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা তার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র, তরুণ, জনতারা। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শুধুমাত্র আমরাই এই দেশের মালিক নয়। এর মালিক এ দেশের সবাই। আমরা মনে করি, একটা বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেভাবেই ২০২৪-এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। মূলত একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান জন্য এই লড়াই।’

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, রেলে কোটা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা আছে। কিন্তু সেখানকার কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্কুলে ভর্তিতে কোটাব্যবস্থায় দৃষ্টি দিয়েছে। ছাত্রদের বৈষম্য রোধ করতেই আমরা আন্দোলন করেছি। এই ছাত্রঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছি। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা আবার বলছি, কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে, এর বিলুপ সাধন করতে হবে। যদি না করা হয়, ছাত্রঅধিকার পরিষদ তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন শুরু করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর