রমজানে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ১০ পরামর্শ

সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছেই রমজান মাস খুব ফজিলত পূর্ণ মাস। ধর্মপ্রাণ মুসলমান নর-নারীরা এ মাসে দিনের বেলায় পানাহার থেকে বিরত থেকে সিয়াম সাধনায় রত থাকেন। তবে, ডায়াবেটিক রোগীরা যদি রোজা রাখতে চান, তবে তাদের জন্য রমজান মাসে আলাদা রুটিন মেনে চলতে হয়। রোজায় কিভাবে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সুস্থ থাকতে পারেন, এ বিষয়ে রয়েছে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।’
রোজায় ডায়াবেটিক রোগীদের ইফতার ও সাহরি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে খাওয়া উচিত, যাতে সুস্থ থাকা যায়। তাদের জন্য পালনীয় পরামর্শগুলো কী, চলুন জেনে নিই। ‘
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ১০টি টিপস..’
খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করুন: তবে চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। অনেক ডায়াবেটিস রোগীর উচ্চ রক্তচাপও থাকে, তাই ভাজাপোড়া খাবারও কম খাওয়াই ভালো।
ফলের রস: চিনিযুক্ত শরবতের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ফলের রস খেতে পারেন। বেল, তরমুজ, পাকা পেঁপে বা মাল্টার রস চিনি ছাড়া খাওয়া যেতে পারে।
ইফতারে আঁশযুক্ত খাবার: ইফতারে খেজুর, বিভিন্ন রকম সালাদ ও ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ায় না।
সাহরিতে আমিষ রাখুন: সাহরিতে আমিষের ভালো উৎস, যেমন- ডিম, ডাল, মাছ বা মুরগির মাংস রাখতে পারেন। গরুর মাংস সপ্তাহে ১-২ বারের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
সাহরিতে সবজি রাখুন: সাহরিতে সবজি খেতে পারবেন, তবে শাকজাতীয় খাবার রাতের বেলায় না খাওয়াই ভালো। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।
ওষুধের ক্ষেত্রে সতর্কতা: কখনোই আগের ওষুধের মাত্রা বা ইনসুলিন নিজে সমন্বয় করবেন না।
সাহরির সময়সীমা: নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে ও মাগরিবের আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার গ্রহণ করুন। ইফতার করতে দেরি করবেন না।
অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: ইফতারে অতিভোজন বা সাহরিতে কম খাবেন না। এক গ্লাস পানি খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়, ডায়াবেটিক রোগীরা এভাবে রোজা রাখলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে”
ইনসুলিন নেওয়ার সময়: রোজা রেখেও ইনসুলিন নেওয়া যায়। তাই ইফতারের নির্ধারিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে ইনসুলিন নিন।’
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে সতর্কতা: যারা ডায়াবেটিস নিয়ে সমস্যা ভোগেন, তারা সব সময় কাছে গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি রাখুন। রক্তে সুগারের মাত্রা খুব কমে গেলে রোজা ভেঙে ফেলুন এবং শরীর দুর্বল লাগলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে ডায়াবেটিক রোগীরা রোজায় সুস্থ থাকতে পারবেন। এ ছাড়া যেকোনো সমস্যায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।’