শেরপুরে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা !! তদন্তের নির্দেশ আদালতের

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা করেছেন এক ভুক্তোভোগী। মামলায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি সহ ৩ কর্মকর্তাকেও আসামী করা হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শেরপুরের বিজ্ঞ সি আর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মোহাম্মদ গোলাপ হোসেন নামে এক ব্যাক্তি।
মামলার মামলা বিবরণে জানা গেছে, ১৩ই জুন ২০২৪ সালে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু বাদি গোলাপ হোসেন সরকারি কোষাগারে নিলামের অর্থ প্রদান করে ক্রয় করেন। তৎকালীন নালিতাবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা উক্ত বালু বাদীর কাছে বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। পরে বাদী গোলাপ হোসেন টাকা দিতে রাজি না হলে তাকে নিলামের বালু নিয়ে হয়রানি শুরু করেন। এমত অবস্থায় বাদি গোলাপ হোসেন জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুরাহা পাননি বলে জানান, পরে নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি জনিত কারণে জামালপুরের বকশীগঞ্জে চলে গেলে বর্তমান নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার ভুমি আনিসুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার যোগসাজশে বালু বুঝিয়ে না দিয়ে নিলাম কৃত বালু বিক্রি করে দেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট জাহিদুল হক আধার জানান আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে আমার মক্কেল গোলাপ হোসেনকে হয়রানি করে আসছিল। এ ঘটনায় আমার মক্কেল আজ বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আমরা এ বিষয়ে আদালতে ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি।