শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গভীর কূপ খনন করার সময় দুই আদিবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচুড়া (ভুইয়াবাড়ী) গ্রামে কুয়া খননের সময় মাটির গভীরে নেমে অক্সিজেন স্বল্পতায় দুই আদিবাসী পুরুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—নারায়ণ কোচ (৪৫) ও নিরঞ্জন কোচ (৩৫)। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নিরঞ্জন কোচ ভুইয়াবাড়ীর নীলমোহন কোচের ছেলে এবং নারায়ণ কোচ রাংটিয়ার নীপুরাম কোচের ছেলে। তারা পরস্পর ভায়রা ভাই ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণ কোচ নিজ বাড়িতে পানি সরবরাহের জন্য গত কয়েকদিন ধরে একটি মাটির কুয়া খনন করছিলেন। রবিবার ছিল কুয়ার খননের শেষ দিন। কাজ শেষে কুয়ার নিচে কিছু ময়লা পরিষ্কার করতে নামলে অক্সিজেনের স্বল্পতায় নারায়ণ কোচ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করতে নিরঞ্জন কোচও কুয়ার গভীরে নামেন, কিন্তু তিনিও একইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর দু’জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, “কুয়ার গভীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।