সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক নামের এক বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃত আজিজুল হক শ্রীবরদী উপজেলার কারারপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।
জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিষয়টি গোপন রেখে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়,পরে গত শুক্রবার রাতে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় শ্রীবরদী থানা-পুলিশ। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ। ওসি জানান, শনিবার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় এবং ওইদিন বিকেলে আদালতে শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর এবং তার মা অন্যের বাড়িতে আয়ার কাজ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটি বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ সময় তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় অভিযুক্ত আজিজুল হক বাড়ির উঠানে গিয়ে শিশুটির কাছে খাবার পানি চান। এরপর ঐ শিশুটি পানি দিলে তা খাওয়ার পড়েি কৌশলে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন ওই বৃদ্ধ। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে রান্নাঘরে রেখে পালিয়ে যায়৷ বৃদ্ধ,,
পরবর্তীতে শিশুটির মা বাড়িতে গিয়ে রান্না ঘরের মাটিতে শিশুটিকে কান্নাকাটি করতে দেখতে পান। পরে শেরপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুন্নাহার নার্গিসের কাছে চিকিৎসা করান। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আজিজুল হককে আটক করে পুলিশ,
শ্রীবরদী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।