শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী: পুটি মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল মৌসুমীর মায়ের দোয়ায় মোড়ানো এক দূর দেশের যাত্রা সরিষাবাড়ীতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, মৃত সন্তান প্রসব, ধর্ষক গ্রেফতার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরিষাবাড়ি পৌর শাখার উদ্যোগে দাওয়াতি গণসংযোগ আত্রাইয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুধী সমাবেশ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার : তৌহিদ সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রতারক আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন নাসিরনগরে দুই কেজি গাঁজা ও মোটর সাইকেল সহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই শিশুকে টঙ্গীতে জবাই করে হত্যা

শবে বরাতে হালুয়া-রুটির বিতরণ প্রসঙ্গে কী বলছে ইসলাম?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
শবে বরাতে হালুয়া-রুটির বিতরণ প্রসঙ্গে কী বলছে ইসলাম?
শবে বরাতে হালুয়া-রুটির বিতরণ প্রসঙ্গে কী বলছে ইসলাম? সংগৃহীত ছবি

ইসলামে শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রাত। রাসুল (সা.) বলেছেন, يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن.

আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টিকুলের দিকে দয়ার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

এ রাতটিই আমাদের দেশে ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত। হাদিসে বর্ণিত ফজিলত ও আমলের বাইরেও এ রাতটিকে ঘিরে আমাদের দেশে অনেক রকম ভুল ধারণা, ভুল প্রথা ও আমল প্রচলিত রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। যেমন অনেকে এ রাতে হালুয়া-রুটি বানানো, নিজেরা খাওয়া ও বিতরণ করাকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কাজ মনে করেন।

অনেককে বলতে শোনা যায়, শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে। তারা এ কথাটিকে নবিজির (সা.) হাদিস মনে করেন। অথচ নবিজির (সা.) সাথে এই কথাটির দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট একটি কথা যা নবিজির (সা.) কথা হিসেবে প্রচার করা হয়।

অনেককে বলতে শোনা যায়, ওহুদ যুদ্ধে যখন নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁত মোবরক শহিদ হয়েছিল, তখন তিনি কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া-রুটি খাওয়া হয়। এটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। ওহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল শাওয়াল মাসের ৭ তারিখ। ওই ঘটনার সাথে শাবানের ১৫ তারিখ বা শবে বরাতের কোনো সম্পর্ক নেই।

শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণের প্রচলন নবিজি (সা.) ও সাহাবিদের যুগে ছিল না এবং এ রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়া বা বিতরণের বিশেষ কোনো ফজিলত নবিজি (সা.) তার কোনো সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়নি।

হালুয়া রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণ করা শবে বরাতের বিশেষ কোনো আমল নয়। শবে বরাতের জরুরি বা বিশেষ আমল মনে করে হালুয়া-রুটি বানালে, খেলে বা বিতরণ করলে তা বিদআত ও নাজায়েজ কাজ গণ্য হবে।

তবে এ রাতের বিশেষ আমল বা ফজিলতপূর্ণ আমল মনে না করেও কেউ যদি এ রাতে হালুয়া-রুটি বানায় বা বিতরণ করে, তাহলে তা নাজায়েজ হবে না। সদকা ও হাদিয়া সব সময়ই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। সাধারণভাবে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন বা দরিদ্রদের হালুয়া-রুটিসহ যে কোনো খাবার খাওয়ানো, হাদিয়া পাঠানো নাজায়েজ কোনো কারণ নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর