নান্দাইলে ধান চাষের পাশাপাশি শশা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা শসা চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম সময়ে কয়েকগুণ বেশি লাভবান হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন নান্দাইলের কৃষকরা।
শসা চাষ করে আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা পেয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। অল্প সময়ে অধিক ফলন এবং বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। শশার বীজ বপনের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা শুরু করতে পারেন কৃষক। ভালো ফলন এবং বাজার দর পেলে প্রথম অথবা দ্বিতীয় বার ক্ষেত থেকে শশা তোলাতেই খরচ ওঠে যায় চাষিদের। ধান চাষের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ লাভ বেশি হয় শশা চাষে।
এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই এ অঞ্চলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শশার ভালো ফলন হচ্ছে বলে জানান কৃষি বিভাগ। সল্প সময়ে লাভজনক এই ফসলটির চাষাবাদ এ উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে সন্তোষজনক শশার দাম এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটছে সোনালি হাসি। নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও, মোয়াজ্জেমপুর, চর বেতাগৈর, বীর বেতাগৈর শেরপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিক্ষিপ্তভাবে শশা চাষাবাদ চোখে পড়ার মতো। এখানকার শশা স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। কৃষকের জমির পাশেই রাস্তায় বসেছে অস্থায়ী আড়ত। ক্ষেত থেকে শশা তুলেই বিক্রি করতে পারছেন পাইকারদের কাছে। লাভজনক এই ফসলটি চাহিদার পাশাপাশি আবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে এ উপজেলায়। শসা চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন অনেকেই। পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা, হয়েছেন স্বাবলম্বী। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত যুবকেরাও চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
নান্দাইল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড বালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোরগঞ্জ গুরু দয়াল কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স করা যুবক ইসলামুল হক জানান, তিনি ১৩ শতক জমিতে শশা চাষ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার শশা বিক্রি করেছেন। এতে তার সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ৭ হাজার টাকা খরচ হয় আরো ৬০ হাজার টাকার শশা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আমিনুল হক জানান, নান্দাইল উপজেলায় এ বছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় অনেকেই শসা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ উপজেলায় দিন দিন শসা আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, কম খরচে শসা চাষ করে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।