বাংলার সংবাদে নিউজ প্রকাশের পর এসএসসিতে সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড়

দৈনিক বাংলার সংবাদে “এসএসসিতে সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থায় হতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার: সচেতন নাগরিক” টাইটেল নিয়ে একটি নিউজ ছাপানো হয়।
তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, ইউটিউব এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষরা এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাপ্লিমেন্টারির প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যস্তবায়নের দাবী জানিয়েছেন।
সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থা বলতে বোঝায়, ফলাফল প্রকাশের পর, যদি কোন শিক্ষার্থী এক বা একাধিক সাবজেক্টে ফেল করে, তাদের জন্য এক থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বা বোর্ড থেকে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর শুধুমাত্র সেই ফেল করা বিষয়গুলোর উপর পরিক্ষা দিয়ে পাস করার সুযোগ থাকে।
কিন্ত দু:খের বিষয় বাংলাদেশে এখনও এই সাপ্লিমেন্টারির ব্যবস্থা নেই।
সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থার ফলে তাদের মূল্যবান পূর্ণ এক বছর অপেক্ষা করতে হতো না এবং তারা দ্রুত তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে পিছিয়ে বা ভেঙে পড়ত না এবং মূল্যবান এক বছর নষ্ট না করে দ্রুত পড়াশোনা শেষ করতে পারত।
পূর্বের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল,
” প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও চলমান এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা। তবে এবারে শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন চাচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা।
কিছু সচেতন শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং নাগরিকরা বলেন,
এসএসসিতে কেউ কোন সাবজেক্টে ফেল করলে আবার পরবর্তীতে পরের বছরে গিয়ে পরীক্ষা না দিয়ে যদি সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থা করা হতো তাহলে অবশ্যই ভালো হতো। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান এক বছর নষ্ট হতো না এবং তারা দ্রুত তাদের পড়াশোনা শেষ করতে পারত।
বর্তমানে বাংলাদেশে এসএসসিতে এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করলে শিক্ষার্থীদেরকে পুনরায় পরের বছর সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এর ফলে তাদের সময় এবং অর্থের অপচয় হয় এবং তারা মানসিকভাবেও পিছিয়ে পড়ে।
যদি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে যে সকল শিক্ষার্থী এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করত, তারা শুধুমাত্র সেই বিষয়গুলোর উপরই পরবর্তীতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেত। এর ফলে তাদের পূর্ণ এক বছর অপেক্ষা করতে হতো না এবং তারা দ্রুত তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারত।
অনেক উন্নত দেশে এই ধরনের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু আছে এবং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ব্যবস্থা চালু করা উচিত যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরাও এর সুবিধা পায়। “
শরত সরকার নামে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী বাংলার সংবাদকে জানান,
“কারো পরিক্ষা ভালো না হলে, অনেকে আত্মহত্যার মতো কঠিন পদক্ষেপও নিয়ে থাকে। কিন্ত পরবর্তীতে এই সুযোগটা থাকলে, কেউ এরকম কাজ করবে না বলে আমার মনে হয়। তাই কোন বাবা-মা হারাবে না তাদের সন্তান। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এরকম ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান রইল। আমরা সব শিক্ষার্থী একমত।”
তাছাড়াও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তাদের দাবী জানিয়েছেন। এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানোর বিষয়েও নানা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখে পড়ছে।