বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদহে দোকান বাকির পাওনা টাকা চাওয়ায় মুদি দোকানি কে হ-ত্যা-র অভিযোগ গাইবান্ধা সদর দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবিরকে দিনাজপুরে গ্রেপ্তার। সরাইল থানা পুলিশের অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-০১ সালিসে ধার্য করা জরিমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০ মিয়ানমারে আটকা পড়া ২০ বাংলাদেশিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর ত্রাণ হস্তান্তর শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছে নৌবাহিনী জাহাজ দুর্নীতি জালে আটকা সাবেক ইসি সচিব হেলাল বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান তরুণীকে মারধর ঘটনায় আপন কফি হাউজের দুই কর্মচারী রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রীর জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে । সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে ,পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। গত ৮ এপ্রিল, তাজুল ইসলাম এবং গাজী মোনাওয়ার হুসাইনসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা ,এই মামলার শুনানি করেন। এই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাকে আরো দৃঢ় করবে।

গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ সদস্যরা তাদের লাশ পোড়ায়। ঘটনাটি ঘটে ছাত্র আন্দোলনের সময়, এবং এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ওই দিন একটি পুলিশ ভ্যানে ছয় তরুণের লাশ  রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এবং এক জন জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, মো. শাহিদুল ইসলাম, এবং মো. আরাফাত হোসেন, তারা সবাই ঢাকা জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।

এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সাভারে ঘটিত এই ঘটনায় আসামিদের দ্রুত বিচার জনগণের মধ্যে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে, এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ধরনের আরও খবর দেখুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর